কল্পজগৎ/Fantasy World
সুখ আর দুঃখ, বাস্তব ও অবাস্তব, কিছু সত্য এবং কিছু কাল্পনিক কাহিনি নিয়ে- শিক্ষা, সংস্কৃতি, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, নিরাপত্তা প্রযুক্তি, বিনোদন ও ধর্ম সহ, অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত সহ আরোকিছু বিষয় নিয়ে আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াশ 'কল্পজগৎ'।
এখানে, অনেক কিছুই আছে কাল্পনিক, বোঝানোর ও শিখানোর জন্য এবং বিনোদনের জন্য, কিছু সত্য ও মিথ্যাকে বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাই কিছু বিষয় আছে যা কিছু বিষয়ের সাথে মিলে যেতে পারে আবার না-ও পারে, যার-দরুন কোনো বিষয় নিয়েই ক্রেটর গন দায়ী থাকবে না।
সকল প্রশংসা আল্লাহর নামে শুরু করছি। যে আল্লাহ আদি, অন্ত, ব্যক্ত ও গুপ্ত এবং যিনি সর্ব বিষয় সম্যক অবহিত। আল্লাহ হচ্ছেন, আদি তাই তার আগে কিছু ছিল না। তিনি অন্ত, তাই তার পরে কিছুই নেই। তিনি ব্যক্ত, তাই তার উপরে কিছু নেই। তিনি গুপ্ত, তাই তার পেছনে কিছু নেই। তিনি আপন কামালিয়াতেরর যাবতীয় গুণাবলী অনাদি সহ অনন্ত, অক্ষয়, অব্যয়, চিরন্তন সত্তা। ঘুটঘুটে অন্ধকারে নিরেট পাথরের উপর কালো পিপড়ার পদচারণা এবং ক্ষুদ্র বালুকণার সংখ্যা সম্পর্কেও তিনি সম্যক অবহিত। তিনি উন্নত মহান ও মহিমান্বিত। তিনি মহা উন্নত। সবকিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন নিখুঁত পরিকল্পনা অনুসারে।
বশির সাহেব প্রতিদিনের মতোই ইন্টারনেটে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছিলো। এমন সময় তার ছোট মেয়ে মিলি ঘরে প্রবেশ করলো এবং তাকে জিজ্ঞেস করলো।
আচ্ছা বাবা, আপনার দাদু কি বাদোর ছিল, নাকি আপনার দাদুর দাদু বাদোর ছিলো?
বাবা তার মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে হতবাক দৃষ্টিতে ভাবছে কিভাবে শুরু করবে, তার কারন মেয়েকে ভালোভাবে বোঝানোর মত ক্ষমতা যে তার নেই। কিছুক্ষন তার মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তারপর মেয়েকে জিজ্ঞেস করলো
কে তোমাকে বলেছে আমার দাদু বাদোর ছিলো?
আমার স্কুলের আনিতা ম্যাম বলছিলো, আমরা মানুষেরা নাকি আগে বাদোর ছিলাম।
তোমার ম্যামের দাদু কি বাদোর ছিলো একথা বলেছে?
না তা-তো বলেনি
তাহলে তার দাদুর দাদু বাদোর ছিলো এই কথা বলেছে?
না তাও বলেনি
তাহলে কি বলেছে?
ম্যাম বলেছে, আমরা মানুষেরা নাকি আগে বাদোর ছিলাম। আস্তে আস্তে বিবর্তনের মাধ্যমে নাকি আমরা মানুষ হয়েগেছি।
তোমার ম্যামকে জিজ্ঞেস করবে আপনি কী জানেন আপনার দাদু, না-কি আপনার দাদুর দাদু, না-কি দাদুর দাদুর দাদু কে বাদোর ছিলো, আর তাদের আদি পিতা যোদি বাদোর থাকে মানুষ হয় তাহলে তার বাদোর আদিপিতারা কিভাবে কোথাথেকে এলো, তারা আবার কি থেকে বাদর হয়েছে?
আচ্ছা বাবা আমরা কি সত্যিই বাদোর থেকে এসেছি
না
তাহলে?
তোমার স্কুলের অন্য একজন স্যারকে জিজ্ঞেস করবে সে কি বলে তারপর আমাকে বলবে।
না বাবা আমাকে এখনই বলেন আমরা কিভাবে এসেছি?
আমরা মানুষ থেকেই এসেছি আর আমাদের সর্ব প্রথম মানুষ হচ্ছে আদম আলাইহিসসালাম।
আদম আলাইহিসসালাম ছেলে ছিলো নাকি মেয়ে ছিল?
ছেলে ছিলো
আগেকি তহলে ছেলেদের ও বাচ্চা হতো?
বাবা তার মেয়ের কথা শুনে একটু ইতস্তত বোধ করলো, তারপর স্বাভাবিক ভাবেই মেয়েকে বলতে লাগলো।
তাহলে শোন, আল্লাহ একদিন ফেরেস্তাদেরকে বললেন আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি বানাব।
ফেরেস্তা করা?
ফেরেস্তা হচ্ছে স্বর্গীয় দূত। আল্লাহ তাদের নুর অর্থাত আলো দিয়ে তৈরি করেছেন।
আচ্ছা ঠিক আছে, আমরা মানুষ কিভাবে এসেছি এটা আগে বলেন?
মিলির বাবা আবার তার মেয়েকে বোলতে শুরু করলো মানুষ কিভাবে এসেছে।
আল্লাহ ফেরেস্তা, জিবরাইল ও মিকাইল আলাইহিসসালামকে পৃথিবী থেকে মাটি নিয়ে আসতে বললেন। তারা পৃথিবীতে এসে মাটি নিতেগেলে পৃথিবী তাদেরকে বলে আমি আল্লাহর কাছে তোমার থেকে পানা চাই আমার কাছ থেকে মাটি নিয়ে আমাকে অঙ্গ হানি করোনা। পৃথিবী আল্লাহর দোহাই দিলে তারা মাটি না নিয়ে চলে যায় এবং আল্লাহকে বলে মাটি নিতে গেলে পৃথিবী আপনার দোহাই দিয়ে আশ্রয় চাই যার কারনে ফিরে আসি। তখন আল্লাহ আজরাইল আলাইহিসসালামকে বললেন। আজরাইল আলাইহিসসালাম মাটি নিতে গেলে পৃথিবী তাকেও একই কথা বলে। তখন আজরাইল আলাইহিসসালাম বলে আমিও আল্লাহর কাছে তোমার থেকে পানা চাই আমি আল্লাহর নির্দেশে এসেছি আল্লাহর নির্দেশ না মনে ফিরে যাব না। এই বলে আজরাইল আলাইহিসসালাম পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি নিয়ে আল্লাহর কাছে আসলেন। তারপর সেই মাটিদিয়ে আদম আলাইহিসসালাম এর মুর্তি বানালেন। তারপর সেই মাটির মুর্তি মধ্যে রুহ অরথাত প্রান সনচার করলেন। যখন রুহ অর্থাৎ প্রান মুর্তির মধ্যে প্রবেশ করলো তখন আদম আলাইহিসসালাম হাছি দিলেন এবং বললেন আলহামদুলিল্লাহ, তাপর ওখানে যারা কথাটি শুনলো তারা বললো ইয়ারহমকুল্লাহ। তারপর পর্যায়ক্রমে আদম আলাইহিসসালাম থেকে তার স্ত্রী হাওয়া আলাহিওয়াসসালামকে বানালেন। তার পর তাদের বেহেস্তে থাকতে দিলেন। সেখানে একটা গাছের কাছে বা তার ফল খেতে নিষেধ করেছিল কিন্তু শয়তান তাকে বিভিন্ন ভাবে ভুলিয়ে তাকে অর্থাত আদম আলাইহিসসালামকে এটা করতে বাধ্য করেছিল। তখন আল্লাহ আদম আলাইহিসসালাম এবং তার স্ত্রীকে বেহেশতের থেকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেন। প্রথম মানব-মানবী হযরত আদম ও হাওয়া আলাইহিসসালাম পৃথিবীতে আশার পর থেকে মানব সভ্যতার শুভ সূচনা হয়েছে। হযরত আদম আলাইহিসসালাম ছিলেন মানব জাতির আদি পিতা এবং সর্বপ্রথম নবী। এছাড়াও আল্লাহ তা'আলা মানুষ সৃষ্টির পর তাঁর বিধি-বিধান আম্বিয়া-ই-কিরামের মাধ্যমেই মানব জাতির কাছে পৌঁছিয়েছেন। নবী-রাসূলগণ সহীফা অথবা কিতাব নিয়ে এসেছেন। মানব ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনা, আম্বিয়া-ই-কিরামের আগমন ও তাঁদের কর্মবহুল জীবন সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। তাই ইসলামের নির্ভুল ইতিহাস জানার জন্য কুরআন ও হাদীসই হলো মৌলিক উপাদান। আজ বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের যুগেও কুরআন-হাদীসের তত্ত্ব ও তথ্য প্রশ্নাতীতভাবে প্রমাণিত। আমি এরচেয়ে বেশি কিছু জানি না যারা জানে তাদের থেকে ভালোকরে জেনে নিও এখন যা-ও স্কুল থেকে এসেছো ফ্রেশ হও খাবার খাও তারপর রেস্ট করো। আর তোমার আপু আসেনি কেন আজ?
আপুর ম্যাথ ক্লাস আজকে একটু দেরিতে হবে তাই আপুর আসতে দেরি হবে।
তারপর মিলি ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে তার রুমে এসে একটু বিশ্রাম নিয়ে পড়তে বসে কিন্তু তার পড়তে ভালো লাগছিলো না।
মিলির আপু কিছুক্ষণ পরে বাড়িতে আসলে তখন সে তাকে জিজ্ঞেস করলো
আচ্ছা আপু আপনি কী জানেন মানুষ কিভাবে এসেছে?
--- মানে মিলির আপুর বুঝতে বাকি রইলো না যে সে হয়তো কারোর কাছে শুনেছে মানুষ বাদোর থেকে এসেছে। --- একটু মজা করার উদ্দেশ্যে বললো।
কিছু মানুষ বাদোর থেকে এসেছে আবার কিছু মানুষ, মানুষ থেকেই এসেছে। যারা বাদোর থেকে এসেছে তাদের পছনে তার মানে যেখানে বাদোরের লেজ থাকে, ওই বাদোর থেকে আসা মানুষের পিছনে আল্প একটু লেজ এখনো রয়ে গছে।
হ্যা তাই,
মিলি তার আপুর কথা শুনে বেশ ঘাবড়িয়ে গেল তারপরও মিলি আবার তার আপুকে জিজ্ঞেস করলো।
বাদোর থেকে আসা মানুষের পিছনে কতটুকু লেজ থাকে?
মিলির আপু মজারছলে বললো
এতটুকু
তারপর আবার মজা করে জিজ্ঞেস করলো
কেন তোমার পিছনে কি এই লেজের হাড় আছে নাকি।
মিলি বলে
আমি জানিনা
মিলির আপু দুষ্টুমি করে বলে
পিছনে হাত দিয়ে দেখো
মিলি পিছনে হাত দিয়ে দেখলো তার মেরুদণ্ডের হাড়ের শেষে একটু বেশি হাড় আছে। মিলির আপু তখন জিজ্ঞেস করলো
কি লেজের হাড়ের ছোট্ট অংশ তোমার ও আছে নাকি?
মিলি ভেবাচেকা খেয়ে বললো
হ্যা আছে
এমন সময় মিলির মা মিলিকে ডাক দিল।
মিলি এদিকে এশোতো
মিলি তার মায়ের কথার উত্তর দিয়ে বললো
আসছি আম্মু
মিলি তার মায়ের কাছে আসলে তার মা তাকে বলে
আমরা আগামী শুক্রবার জু তারমানে চিড়িয়াখানা বেড়াতে যাবো
আসলে মিলি জানতোনা চিড়িয়াখানা কি তাই মিলি তার মাকে জিজ্ঞেস করে
আম্মু চিড়িয়াখানা কি ওখানে কি পাওয়া যায়?
যেখানে বন্য প্রাণী বন্দী অবস্থায় সংরক্ষণ ও গবেষণার জন্য রাখা হয় তাকে চিড়িয়াখানা বলে।
মিলির মা আর কিছু না বলে রান্না ঘরে চলে গেলো রান্না করতে।
মিলি তার ঘরে এসে বসে চিন্তা করতে লাগলো এবার চিড়িয়াখানা নিয়ে।